শুক্রবার , ১ ডিসেম্বর ২০২৩ , রাত ১১:০১
ব্রেকিং নিউজ

বরিশাল সিটি নির্বাচনে,এক কেন্দ্রে টেবিলঘড়ির এজেন্ট নেই, ইভিএম জটিলতায় এক কক্ষে ৪৫ মিনিট ভোট বন্ধ

রিপোর্টার :
প্রকাশ : সোমবার , ১২ জুন ২০২৩ , সন্ধ্যা ০৬:০৪

বরিশাল অফিসঃ

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটকক্ষ আটটি। প্রথম ঘণ্টায় কেন্দ্রটির কোনো ভোটকক্ষেই স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী কামরুল আহসানের টেবিলঘড়ি প্রতীকের এজেন্ট পাওয়া যায়নি। তবে সব ভোটকক্ষেই নৌকা ও হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীদের এজেন্ট দেখা যায়।

আজ সোমবার সকাল আটটায় এই সিটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর প্রথম ১৫ মিনিটে সিটির অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪ নম্বর পুরুষ ভোটকক্ষে ১০টি ভোট পড়ে। এরপর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) জটিলতায় কক্ষটিতে প্রায় ৪৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।তখন কক্ষটির সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুমন হোসেন বলেন, ভোটারদের আঙুলের ছাপ মিলছে না। কারিগরি দলকে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রটিতে সকাল সোয়া ৮টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত অবস্থান করে দেখা যায়, নারী ও পুরুষ উভয় সারিতেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটার রয়েছেন।

কেন্দ্রটির মোট ভোটার ২ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ হাজার ১৩৯ জন। পুরুষ ভোটার ১ হাজার ১৪২ জন।

প্রথম ১ ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে ১৩০টি। অর্থাৎ প্রথম ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ।

কেন্দ্রের দোতলায় নারীদের ৪টি ভোটকক্ষ, নিচতলায় পুরুষদের ৪টি ভোটকক্ষ। আটটি কক্ষ ঘুরে কোনোটিতেই স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী কামরুল আহসানের কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি।

কেন্দ্রের ৪ নম্বর ভোটকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, ইভিএম জটিলতায় ভোট গ্রহণ বন্ধ। তখন কক্ষের বাইরে ১৯ জন ভোটার অপেক্ষায়। তাঁদের একজন নতুনবাজার এলাকার ফয়সাল হোসেন। তিনি বলেন, ৩০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে। বেশি দেরি হলে চলে যাবেন।

কক্ষে থাকা সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর (আনারস প্রতীক) এজেন্ট আবুল খায়ের তখন প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএমে জটিলতায় ভোট গ্রহণ বন্ধ। সকালে যাঁরা ভোট দিতে এসেছেন, বেশি দেরি হলে তাঁরা একবার চলে গেলে আর আসবেন না।

প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর নির্বাচন কমিশনের কারিগরি দল ত্রুটি সারে। পরে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তখন ভোট দেন ফয়সাল হোসেন।

কেন্দ্রে বাবা পরশ চন্দ্র ঘোষ ও ছেলে শ্যামল চন্দ্র ঘোষ একসঙ্গে ভোট দিতে আসেন। ২ নম্বর ভোটকক্ষে তাঁরা ভোট দেন। বের হয়ে তাঁরা বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়া কঠিন নয়, কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় একটু ভয় লাগছিল। পরে দেখলেন, সহজেই ভোট দেওয়া গেছে।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘যেসব প্রার্থীর এজেন্ট এসেছেন, তাঁরা সবাই কেন্দ্রে ঢুকেছেন। যাঁদের এজেন্ট কেন্দ্রে আসেননি, তাঁদের বিষয়ে বলতে পারব না। একটি কক্ষে ইভিএম জটিলতায় সাময়িক ভোট বন্ধ ছিল। এখন ঠিক হয়েছে।’