পাবনা থেকে শরিফুল ইসলামঃ-
১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। বহুল আকাঙ্খিত সেই স্বাধীনতার লাল-সবুজের পতাকা এই স্বাধীন বাংলায় ওড়ানোর জন্য আমাদের খরচ করতে হয় ৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত হারাতে হয় ২ লক্ষ মা -বোনের সম্মান।এই দেশ এই স্বাধীনতাকে পেতে লক্ষ্য দামাল ছেলেরা দিয়েছে প্রাণ। যাদের ত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিময়ে এই দেশ এই স্বাধীনতা তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ দেশের সকল শ্রেণি- পেশার মানুষ।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে তালিকা থেকে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধারা যেমন স্বীকৃতি পেয়েছে তেমনি যুদ্ধ না করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া কিছু মুক্তিযোদ্ধারাও বাদ পড়েছে এ তালিকা থেকে। দেশের সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিক্তিতে তৈরী হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা। যেসকল মুক্তিযোদ্ধা গণের গ্রেজেট নাম্বার অথবা মুক্তি বাহিনী নাম্বার আছে তারা সরকারি তালিকা ভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা।
সম্প্রতি রানীনগর ইউনিয়নের মৃত রিয়াজ উদ্দিন বিশ্বাসের সন্তানদের বিরুদ্ধে তার পিতার নামের পুর্বে বীরমুক্তিযোদ্ধা ব্যবহার করতে দেখা যায়। যদিও তিনি যুদ্ধ করেননি বলে জানাযায়, নেই গ্রেজেট কিংবা মুক্তি নাম্বার। যেকারনে এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ তো দুরের কথা, মুক্তিযোদ্ধাদের কোন প্রকার সহযোগিতাও করেন নি তিনি। যেকারণে তার নেই কোন মুক্তি নাম্বার বা গ্রেজেট নাম্বার এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে থাকা তালিকায়ও তার নাম পাওয়া যায় নি।
অথচ তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন অফিস আদালতে তাদের পিতার নামের সাথে বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে আসছে, এমনকি তাদের কালু মোল্লার মোড়ে অবস্থিত মার্কেটের সাইনবোর্ডে লেখা বীরমুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন বিশ্বাস সুপার মার্কেট। যেকারনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অত্র এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা গণ।
রানীনগর ইউনিয়নের প্রকৃত ও তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি অবিলম্বে মিথ্যা বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিচয় ব্যবহারকারী রিয়াজ উদ্দিন বিশ্বাসের পরিবারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।