নাহিদ হাসান শামীম স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিয়াশ চক পাড়ায় একটি পুকুর পাড়ের খাঁস জায়গায় বসবাস করে আসকুরানী। পেশায় এখন ভিক্ষুক। একসময় কাঠের মিলে কাজ করতেন, কাজ গিয়ে হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে যায়। তারপর থেকে সংসারের বোঝা টানতে ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে। অভাবের সংসার থেকে চলে গেছে ৩ সন্তানের জননী, তাঁর স্ত্রী। এখন কুঁড়ে ঘরে এক সন্তান নিয়ে ভিক্ষা করে চলে তাঁর সংসার। যা আয় তাই ব্যয়। সন্তানের লেখাপড়া চালানোর সক্ষমতা নাই। একটা দোকান করবে, কিন্তু অর্থ নাই। জীর্ণ ঘরের চারিদিকে হাহাহার আর হাহাকার। তাঁর মধ্যে আবার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে ইনফেকশন ধরেছে। ডাক্তার বলেছে পা কেটে না ফেললে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে। পা কেটে ফেলতে প্রায় ৪০ হাজার খরচ হবে। নিরুপায় এবং অসহায় আসকুরানী বাঁচতে চায়।
কান্না জড়িত কন্ঠে সে বলে সারাদিন লাঠির উপর ভর করে সাহায্য করি। সাহায্য করে এসে কোনোদিন চুলা জ্বলে কোনোদিন পা রুটি কলা খেয়ে থাকতে হয়।
অসহায় এই আসকুরানী মানবিক মানুষ আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।