রুমান শাহরিয়ার, জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতক কন্যাশিশুকে রেখে পলাতক রয়েছেন বাবা-মা। শিশুটি বর্তমানে ওই হাসপাতালের শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্রের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। কিন্তু অসহায় শিশুটির কান্না যেন থামাবার মতো নয়।তার বাবা-মায়ের খোঁজ পেতে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
হাসপাতাল থেকে জানা যায়, সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটিকে ভর্তি করান এক দম্পতি। হাসপাতালের রেজিস্টারে ওই দম্পতির নাম রকিব-রোকসানা লেখা রয়েছে। ওই দম্পতির গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়রা এলাকায়।
গত বুধবার (১লা মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে চলে যান তার বাবা-মা।বিষয়টি পরে হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নজরে আসলে শিশুটির দেখভাল করতে শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। এমনই তথ্য জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসছে উৎসুক জনতা।
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স মাফিয়া সুলতানা গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান,
এমন ঘটনা এর আগে কখনো হয়নি। তাই জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালে থাকা এক মায়ের দুধ পান করেছেন শিশুটি। তবে কিছুতেই কান্না থামানো যাচ্ছে না ওই শিশুর।
শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক জান্নাত আরা মিলি গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী বাবা-মায়ের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক মাহফুজুর রহমান সোহান গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান, শ্বাসকষ্টজনিত বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে রকিব-রোকসানা দম্পতি ওই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে অনেকটাই সুস্থ আছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা শিশুটির সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছে। এবিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বাচ্চাটির ঠিকানায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। খোঁজ না পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।