• ঢাকা
  • শনিবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ভোর ০৫:২০
ব্রেকিং নিউজ
হোম / জাতীয়

মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নেত্রকোনায় পুলিশে চাকরি পেল- ৮৬ জন

রিপোর্টার : দৈনিক নতুন দিগন্ত
মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নেত্রকোনায় পুলিশে চাকরি পেল- ৮৬ জন ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি;


'চাকরি নয়, সেবা'- এই স্লোগানে নেত্রকোনা জেলায় শূণ্য পদের বিপরীতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে কোন প্রকার ঘুষ অথবা তদবির ছাড়াই বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৮৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।




নেত্রকোনা জেলার নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ নেত্রকোণা পুলিশ লাইন্স মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে টিআরসি নিয়োগ কার্যক্রমের সকল ইভেন্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম ও ফলাফল ঘোষণা করেন এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় নতুনদের ফুল এবং ক্রেস্ট দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।




জেলা পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে- সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানান।




নিয়োগ বোর্ড সূত্রে জানাযায়, কনস্টেবল পদে প্রায় ৪ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিল। গত ৮, ৯, ১০ ফেব্রুয়ারী নেত্রকোণা পুলিশ লাইন্স মাঠে তাদের শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারী লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তির্নদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।




শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৯৫৭ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তার মধ্যে ২২০ জন ভাইভা ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত হয়। তাদের মধ্যে ৮৬ জন চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়।


 


চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কয়েজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, সরকার নির্ধারিত মাত্র ১২০ টাকা (ব্যাংক ড্রাফট-১০০ টাকা এবং ফর্ম বাবদ- ২০টাকা) খরচ করে পুলিশে চাকরি পাবো, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।




তারা আরও বলেন, আগে পুলিশের চাকরি পেতে হলে, কোন না কোন মাধ্যম ধরে ৫-৭ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েও চিন্তায় থাকতে হতো চাকরিটা হবে কি না? এতে করে, অনেক অভিভাবক ছেলেকে পুলিশে চাকরি পাওয়াবার জন্য ঋণ করে অথবা জমি বিক্রি করে ঘুষের টাকা জোগাড় সর্বস্ব হারাতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার (ফয়েজ আহমেদ) এর বিগত সময়ের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছেন। স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ পেয়ে বিশ্বাস হলো ঘুষ ছাড়াও পুলিশের চাকরি হয়। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ স্যারকে। তিনিই শিখালেন, সততার মাঝেই আছে শান্তি। দেশের প্রতিটি সেক্টরেই যদি পুলিশ সুপার (ফয়েজ আহমেদ) স্যারের মতো অফিসার থাকতেন তবে, দেশের দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নেমে আসতো। আমরা উনার নীতি-আদর্শকে সম্মান জানিয়ে তার সততাকে পুঁজি করে আগামী দিনের পথ চলতে চাই।


সারাদেশ

আরও পড়ুন