ইরানের সরবরাহ করা ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা করছে রাশিয়া। এই অভিযোগে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে ইরানের কুদস অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজের (কিউএআই) ছয়জন নির্বাহী ও বোর্ড সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা জানায়। কুদস অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজ লাইট এয়ারপ্লেন ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামেও পরিচিত। এটি ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, কুদস অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৩ সাল থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটি ইরানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও ড্রোনের নকশা তৈরি করে থাকে।
ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে যে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে ভ্লাদিমির পুতিন বর্বরতা চালাচ্ছেন, সেটা বন্ধ করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নেব।’
রয়টার্স জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশনের পরিচালকের নাম রয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, এই সংস্থা ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির তদারক করে থাকে। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে আসা কোনো কর্মকর্তারই নাম উল্লেখ করা হয়নি রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করতে পারবে মার্কিন প্রশাসন। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে লেনদেনে জড়িতরাও নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এর আগেও ড্রোন তৈরি ও রাশিয়ায় ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে ইরানের কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরান বরাবরই রাশিয়ায় ড্রোন পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে।