নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক অভিযানে অন্তত দশজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৭ জন। দখলকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব কথা জানায়।
গতকাল বুধবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আহত অনেকের শরীরেই গুলি লেগেছে। তাঁদের ছয়জনের অবস্থা গুরুতর। নিহত ব্যক্তিরা হলেন আদনান সাবে বারা (৭২), মোহাম্মদ খালেদ আনবাউসি (২৫), তামের মিনাবি (৩৩), মুসাব ওয়াইস (২৬), হোসাম ইসলিম (২৪), মোহাম্মদ আবদুল গনি (২৩), ওয়ালিদ দাখিল (২৩) ও আবদুল হাদি আশকার (৬১), জাসের আব্দেলওয়াহাব (২৩) ও মোহাম্মদ ফরিদ (১৬)।
বুধবার সকাল ১০টায় বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান নিয়ে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর পরপরই ব্যাপকভাবে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। তালিকাভুক্ত দুই ফিলিস্তিনি যোদ্ধার বাড়ি ঘেরাওয়ের আগে শহরের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয় সেনাবাহিনী। অভিযানে ওই দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘লায়ন্স ডেন’ এক বিবৃতিতে বলেছে, সম্প্রতি ঘোষিত ‘বালাতা ব্রিগেড’ সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে অভিযানের সময় তারা ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী এখন নাবলুস শহরে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেনি।
বুধবার রামাল্লা ও নাবলুস শহরে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয় ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তল্লাশিচৌকির কাছে বিক্ষোভ দেখাতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানায় তারা।
দখলকৃত ভূখণ্ডে চলিত বছরের শুরু থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৭। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ শিশুও রয়েছে। অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া বেসামরিক ফিলিস্তিনি ও পথচারীরাও নিহত হন। এ ছাড়া পরিকল্পিত গুপ্তহত্যার শিকার ও সশস্ত্র সংঘর্ষে নিহত ফিলিস্তিনিরাও রয়েছেন।