যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করতে যাচ্ছে। বরিসের পর কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কে হবেন, তা নিয়ে দলে উত্তেজনার মধ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হলো। বুধবার লেবার পার্টি অনাস্থা ভোটের জন্য পদক্ষেপ শুরু করতে পারে।
খবর দ্য গার্ডিয়ানের লেবার পার্টির এই অনাস্থা প্রস্তাবের মানে সব দলের এমপিরা বরিসের নেতৃত্বাধীন সরকার আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে কি না, তা নিয়ে ভোট দিতে পারবেন। ভোটে যদি সরকারপক্ষ হেরে যায়, তাহলে সাধারণ নির্বাচনের পথ খুলে যাবে দেশটিতে। লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্ট্যামার আগেই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী কয়েক মাস ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে পারবেন না। তাঁর প্রতি টোরি (কনজারভেটিভ পার্টি) এমপিদের আস্থা আছে কি না, তা ঘোষণা করতে বাধ্য করা হবে।
তবে লেবার পার্টি এই ভোটে হেরে যেতে পারে। কারণ, টোরি এমপিরা এমন কোনো ভোটকে সমর্থন করবেন না, যা এখনই নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় সরকার। লেবার পার্টির ছায়া অর্থমন্ত্রী জেমস মারি বলেন, আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্ট শেষ হওয়ার আগে বরিসকে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বের করে আনার এটাই শেষ সুযোগ। এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে। কনজারভেটিভ পার্টি সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিসের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
কনজারভেটিভ পার্টির ১২ জন নেতা বরিসের উত্তরসূরি হওয়ার জন্য লড়তে যাচ্ছেন। সরকার ও দলের ব্যাপক চাপের মুখে গত সপ্তাহে বরিস পদত্যাগের ঘোষণা দেন। দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বরিস বলেন, কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
বরিসের এ ঘোষণার পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য কনজারভেটিভ পার্টির নেতাদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়। এই লড়াইয়ে সর্বশেষ যোগ দিয়েছেন দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এ ছাড়া আছেন ঋষি সুনাক, সাজিদ জাভেদ, জেরেমি হান্ট, প্রীতি প্যাটেল, টম টুগেন্ডহাট, নাদিম জাহাবি, কেমি বেডেনচ, সুয়েলা ব্রেভারম্যান, রেহমান চিশতি, পেনি মরডেন্ট ও গ্রান্ট শ্যাপস।