শুক্রবার , ১ ডিসেম্বর ২০২৩ , রাত ১১:১৫
ব্রেকিং নিউজ

লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্বামীকে হত্যায় কারা দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্ত্রী গ্রেফতার

রিপোর্টার :
প্রকাশ : রবিবার , ২৮ মে ২০২৩ , সকাল ১০:৫৫

নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্বামীকে হত্যায় যাবজ্জীবন কারা দণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব । 

জানা যায় লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের পর গভীর রাতে  ঘুমন্ত স্বামীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে স্ত্রী দিলু বেগম।

আদালত এই হত্যাকান্ডের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। 

লুকিয়ে থাকা কারাদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী দিলু বেগম (৩৮)কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। 

জানা যায় আদালতের রায়ের এক মাস ১৫ দিন পর শুক্রবার (২৬ মে) রাতে ফেনীর বিজয়সিংহ সার্কিট হাউজ এলাকার একটি তিনতলা বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায় দিলু ওই এলাকার ফেনীর দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে।

গত কাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে  নিশ্চিত করেছেন।

মাহমুদুল হাসান বলেন,স্বামীকে হত্যার ঘটনায় আসামি দিলুকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এতদিন তিনি পলাতক ছিলেন। আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছ। এবং তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হেফাজতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ নির্মম হত্যাকান্ডের রায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর  জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, গত ১১ এপ্রিল স্বামী মহরম আলী মোহনকে হত্যার দায়ে দিলু বেগমের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন  আদালত। রায়ে একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও একবছরের জেল দেওয়া হয়। ওই সময়ে রায় চলাকালে দিলু বেগম পলাতক ছিলেন।

আদালতে মামলার এজাহার সূত্র থেকে জানা যায় ভিকটিম মোহন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের কালিদাসেরবাগ গ্রামের স্হায়ী বাসিন্দা খোকন মিয়ার ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান মোহন কাজের সুবাদে ফেনীতে বসবাস করতেন।

একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়  তিনি সব সময় নেশা করতেন। এ নিয়ে স্ত্রী দিলুর সঙ্গে তার ঝগড়া ঝগড়া-বিবাদ প্রতিনিয়ত লেগে থাকতো। জানা যায় ঘটনার দিন ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে তিনি ফেনী থেকে লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়িতে আসেন।

 ওই রাতেই দিলুর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়, ঝগড়ার এক পর্যায়ে পরে তারা তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে তিশাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ঘুমন্ত স্বামীকে  ক্ষিপ্ত হয়ে দিলু গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মোহনকে হত্যা করেন।

ওই দিন ঘটনার রাতে মোহনের মা জাহানারা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। তিনি আনুমানিক রাত ১টার দিকে মোবাইলফোনে তার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পান। মরদেহের শরীরে বিভিন্ন স্হানে জখমের চিহ্ন ছিল। পরদিন ৩১ মার্চ মোহনের মা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল আদালতে দিলুকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। প্রায় ১১ বছর মামলার রায় দেন আদালত।