লাইফস্টাইলঃ
বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস আর ক্যানসারের মতোই ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানাচ্ছে, অধুনা বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত
ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা অতি সাধারণ এক মানসিক অসুস্থতা। দৈনন্দিন কাজ, চিন্তা-ভাবনা এবং জীবনযাত্রায় তার প্রভাব পড়ে। বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস আর ক্যানসারের মতোই ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানাচ্ছে, অধুনা বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি করনীয়:
১. বর্তমান যুবসমাজ বিষণ্ণতা দূর করতে সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করতে পছন্দ করে তা হল স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে বিরতি নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা। মানু্ষের মনের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক সেই আদিকাল থেকেই। আবহাওয়ার সামান্য পরির্বতন মানুষের মনে যেভাবে দোলা দেয় সেইভাবে তা বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে।
সুন্দর কোন প্রাকৃতিক জায়গায় গিয়ে মানু্ষ চায় সবকিছু কিছুক্ষণের জন্যে ভুলে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে। এইভাবে প্রাকৃতিক জায়গায় ঘুরতে যাওয়াও বিষণ্ণতা কাটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
২.আমরা সবাই জানি যে আমাদের শরীর ও মন পরস্পর সংযুক্ত। তাই আমাদের মনকে ভাল রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের একটি সুস্থ শরীর বজায় রেখে চলতে হবে। এজন্য আমাদের দরকার উপযুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি ধ্যান বা শরীরচর্চামূলক কাজ করা। কিছু শারীরিকভাবে নিঃসৃত হরমন রয়েছে যেগুলো আমাদের মন ভাল রাখতে ভূমিকা রাখে।
এই হরমোনকে বলা হয় “এন্ড্রোফিন”। নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের দেহ থেকে এ হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এজন্য আমার বিষণ্ণতা কমানোর জন্য নিয়মিত সাইকেল চালানো, সাঁতার, ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি-এসব করতে পারি। এতে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্য দুটোই বেশ ভালো থাকবে।
৩.প্রতিটি মানু্ষই বাঁচে আশার মাধ্যমে। আর এই আশা পূর্ণতা পায় বিশ্বাসের মাধ্যমে। এই বিশ্বাস ধর্মের প্রতি, সৃষ্টিকর্তার প্রতি। সাধারণত মানুষ যখন ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতায় ভোগে তখন তাদের কোন আশার বিঘ্ন ঘটে যার ফলে তারা ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করে। সব সময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ, নিজের বিশ্বাসকে শক্ত করার মাধ্যমে মানুষ শক্তি খুঁজে পায়। সাইকোলজিস্টদের মতে, বিষণ্ণতায় নিজ নিজ ধর্মের প্রার্থনা মন ভালো করতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।